চলে গেলেন জেমস বন্ড সিরিজের বন্ডের প্রথম সঙ্গিনী ইউনেস গেসন। শুক্রবার (৮ জুন) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বন্ডকন্যা সিলভিয়া ট্রেঞ্চ চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
গত শতকের ষাটের দশকে জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ড. নো’ তে বন্ডকন্যা সিলভিয়া ট্রেঞ্চ চরিত্রে দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে।
‘ড. নো’ মুক্তি পাওয়ার পরের বছর ১৯৬৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’ চলচ্চিত্রেও দেখা গিয়েছিল গেসনকে। সেখানেও বন্ডকন্যা হিসেবে দেখা মিলে তার। একই নায়িকার দুটি বন্ড ছবিতে কাজের রেকর্ড আর নেই।
টুইটারে শনিবার (৯ জুন) বিকালে ইউনিস গেসনের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেকের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে গেছেন তিনি। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।’
প্রযোজক মাইকেল জি. উইলসন ও বারবারা ব্রকোলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথম বন্ডকন্যা ইউনিস গেসনের প্রয়াণে আমরা শোকাহত। আমরা তার পরিবারের সমব্যথী।’
প্রথম জেমস বন্ড শ্যন কনোরি ৮৭ বছর বয়সে ২০১২ সালে মারা গিয়েছিলেন। ৯০ বছর বয়সে শুক্রবার গেসনের মৃত্যু ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
বন্ড সিরিজের প্রযোজক মাইকেল জে উইলসন ও বারবারা ব্রোকলি এক বিবৃতিতে তার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।
‘ড. নো’তে প্রধান ‘বন্ডগার্ল’ হিসেবে সবাই উরসুলা অ্যান্ড্রেসকে চিনলেও শ্যন কনোরির কণ্ঠে জেমস বন্ডের প্রথম নিজের পরিচয় দেওয়ার আলোচিত সংলাপটি এসেছিল সিলভিয়ার (গেসন) কথার প্রত্যুত্তরেই।
‘বন্ড, জেমস বন্ড’- ব্রিটিশ গোয়েন্দার নিজের পরিচয় মেলে ধরার এই সংলাপ বিশ্বজুড়ে বন্ডভক্তদের কাছে পরিচিত।
দুটি চলচ্চিত্রে গেসনকে পর্দায় বন্ডকন্যার ভূমিকায় দেখা গেলেও সেখানে তার কণ্ঠটি শোনেননি কেউ। অন্য একজনকে দিয়ে ডাব করানো হয়েছিল।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি দি সেইন্ট ও দি অ্যাভেঞ্জার্সের মতো টেলিভিশন সিরিজেও অভিনয় করে নাম কুড়িয়েছিলেন গেসন।
ব্রিটিশ অভিনেত্রী গেসনের জন্ম ১৯২৮ সালের ১৭ মার্চ, যুক্তরাজ্যের সারেতে।
গেসনের পর তার মেয়ে জেমস বন্ড সিরিজের ‘গোল্ডেন আই’য়ে অভিনয় করেছিলেন ১৯৯৫ সালে।